ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাই
এমপি তার বিরুদ্ধে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (বহিস্কৃত) নায়েব আলী
জোয়ারদারের উত্থাপিত অভিযোগ খন্ডন করে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক লিখিত বক্তব্যে আব্দুল
হাই বলেন, শনিবার ঝিনাইদহ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রিপোর্টার এ্যাসোসিয়েশন
কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ারদার
যে অভিযোগ করেছেন তার কোন সত্যতা নেই।
তিনি বলেন, আমি প্রায় ধীর্ঘ ৫০ বছর আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাখে জড়িত। সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়ের আলী আমার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, হুমকী, প্রভাব খাটানো, সস্ত্রাস সৃষ্টি, প্রশাসনকে নির্বাচনী কাজে চাকরবাকরের মতো ব্যাবহার করার যে অভিযোগ করেছেন তার বিন্দু মাত্র সত্যতা নেই। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েব আলী নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে আমার নির্বাচনী প্রচার মাইক ভাংচুর ও দলীয় নেতা কর্মীদের মারধরসহ উস্কানী মুলক আচরণ করছেন। এছাড়া নির্বাচন আচরণ বিধি লংঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নয়েব আলী উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছেন। শৈলকুপার ভাটই বঙ্গবন্ধু কলেজের সভাপতি হিসেবে নায়েব জোয়ারদার আমার দেওয়া টিআর ও কাবিখার অর্থ লোপাট করেছেন। অথচ ওই চাল গম দিয়েই কলেজের গর্ত ভরাট হয়ে যেত। আব্দুল হাই এমপি উল্লেখ কারেন তার জামাই সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল এখন ট্রেনিংয়ে আছেন। তাই তার পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই ওঠে না।
এ ছাড়া এমপি ও প্রতি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে তা আদৌ সঠিক নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড আজিজুর রহমান, কুষকলীগ নেতা এড আব্দুর রশিদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক আক্কাচ আলী, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম শিমুল ও আব্দুল হাকিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন