খুব শীঘ্রই নতুন ধারা দৈনিক বর্ণময় বাংলাদেশ আসছে পাঠকের হাতে। আশা করছি আপনারা দৈনিক বর্ণময় বাংলাদেশ পড়বে এবং নিয়মিত আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিবেন।

সংবাদকর্মী নিয়োগ ঝিনাইদহ থেকে খুব শ্রীঘ্রই দৈনিক বর্ণময় বাংলাদেশ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এর জন্য খুলনা বিভাগের সকল জেলা,উপজেলা,গুরুত্বপুর্ণ বাজার, ইউনিয়ন পর্যায়ে সংবাদ কর্মী নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীদের আগামী ১৫ মার্চ ২০১৪ তারিখর মধ্যে ২ কপি ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপিসহ সম্পাদক,দৈনিক বর্ণময় বাংলাদেশ, ইসলামীয়া সুপার মার্কেট(জাফর বীজভান্ডার) মেইনবাসষ্ট্যান্ড,কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ এই ঠিকানায় আবেদন করতে অনুরোধ করা হল। আবেদন ইমেইলেও করতে হবে: bornomoybd@gmail.com

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

ঝিনাইদহে আ’লীগ প্রার্থীদের সম্পদের পাহাড় পাঁচ বছরে লাখপতি থেকে কোটিপতি

বর্ণময় রিপোর্ট
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের চারটি আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা লাখপতি ছিলেন।  কিন্তু পাঁচ বছরের ব্যবধানে অধিকাংশই প্রার্থীই হয়েছেন কোটিপতি।  দশম সংসদ নিবর্াচনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দায়েরকৃত হলফনামায় ঝিনাইদহের চারটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের লাখপতি থেকে কোটিপতি হওয়ার এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।  কোন কোন প্রার্থীরা পেশা হিসেবে আইনজীবী ও ব্যবসা দেখালেও একমাত্র ঝিনাইদহ-২ আসনের সফিকুল ইসলাম অপু ছাড়া অন্য র্থীরা পেশার সঙ্গে নেই।
 

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দলবাজী করেই র্থীরা কোটিপতি হয়ে উঠেছেন? পেশায় যদি এতো টাকা আয় হবে তাহলে টেন্ডারবাজী, স্কুল কলেজে শিক্ষক নিয়োগ, টিআর, কর্মসৃজন, কাবিখা আর চাকরী বানিজ্যর টাকা কার পকেটে গেল?
ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল হাইয়ের ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা।  চলতি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বাৎসরিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ২শত ৮৪ টাকা।  গত নির্বাচনের হলফনামায় নিজ ও স্ত্রীর নামে স্হাবর সম্পত্তি ছিল ১১ লাখ ৫ শ টাকা ও অস্হাবর সম্পত্তি ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২৭৬ টাকা।  চলতি নির্বাচনে তার স্হাবর সম্পত্তি ১ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং অস্হাবর সম্পত্তি ১ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১ শত ৬৭টি টাকা দেখিয়েছে।  ঝিনাইদহ-২ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. সফিকুল ইসলাম অপুর হলফনামা অনুসারে তার বার্ষিক আয় ২৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭ শত ৮৬ টাকা।  তার অস্হাবর সম্পত্তি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫ শত ৮ টাকা ৭৫ পয়সা এবং স্হাবর সম্পত্তির হিসাব দেখিয়েছেন ৭৮ লাখ ৮ হাজার ৯শত ২৮ টাকা ৮৪ পয়সা।  তিনি গত নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রতির কত শতাংশ পূরণ করেছেন তার কোন হিসাব দেননি।  একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা নূরে আলম সিদ্দিকীর পুত্র তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির বার্ষিক আয় ৩ কোটি ৯৭ লাখ ১৮ হাজার ৫ শত টাকা।  তার অস্হাবর সম্পত্তি ৫ কোটি ২২ লাখ ৫২ হাজার ৫ শত ৬০ টাকা তবে তিনি স্হাবর সম্পত্তির কোন হিসাব দেননি।  তিনি তিনটি ব্যাংকে ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা দেনা রয়েছেন।  ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নবী নেওয়াজের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৪০ হাজার  টাকা।  তার অস্হাবর সম্পত্তি ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।  স্হাবর সম্পত্তি আনুমানিক ৪২ লাখ টাকা।  এই প্রার্থীর নামে কোন মামলা নেই।  একই আসনে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খানের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুসারে তার বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৭০ হাজার  টাকা।  নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি তার বার্ষিক আয় উলে­খ করেছিলেন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।  বর্তমানে তার অস্হাবর সম্পত্তি ১ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৭ শত ১৯ টাকা।   ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুল আজীম আনারের বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪০ হাজার  টাকা।  তার  ও তার স্ত্রীর নামে অস্হাবর সম্পত্তি ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮০ টাকা।  স্হাবর সম্পত্তি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৩শত ৪০ টাকা।  এছাড়া জনতা ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখায় ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭ শত ৪৭ টাকা দেনা রয়েছেন।  তার বিরুদ্ধে বিগত সময়ে দুটি হত্যা বিস্ফোরণ ও চাঁদাবাজি সহ ২০টি মামলা ছিল।  যার মধ্যে ১৪টি মামলায় খালাস ও ৫টি মামলা ডিসচার্জ হয়েছে।  বিচারাধীন একটি হত্যা মামলায় তিনি জামিনে আছেন।  একই আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া বর্তমান আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের হলফনামায় কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন